বেটিং সাইটে টাকা পাঠানো ও এলাকার মানুষকে ব্লাক মেইল ও হুন্ডির টাকা পাঠানোই জাকারিয়ার কাজ
নিজস্ব প্রতিবেদক
-
প্রকাশিত : ০৬ জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
বাংলাদেশ এ এখন বেটিং সাইট নিষিদ্ধ কিন্তু নুরেরচালার জাকারিয়া নামক এক দোকানি অনেক আগে থেকে বেটিং সাইটে টাকা ও হুন্ডি ব্যবসা এবং এলাকার মানুষকে বিভিন্ন ভাবে ব্লাক মেইল করে আসছে। নুরেরচালা এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে বেলা বার্তার নিকট অভিযোগ করে।
এই জাকারিয়া যশোর থেকে ঢাকার নুরেরচালায় এসে একটি দোকান ভাড়া নেয়। ভাড়া নেয়ার কয়েক বছর খুব ভালো ভাবে দোকান চলালেও এখন আর সে দোকান চালাতে পারে না, এর কারন সে অনেক আগে থেকে বেটিং ও হুন্ডি ব্যবসার সাথে জড়িত।
প্রথমে সে নিজে বেটিং করে এবং বেটিং এর এজেন্ট ও ছিল পরে অনেক টাকা লস খাওয়ার পরে সে শুরু করে মানুষের সাথে প্রতারণা। এলাকার লোকজনকে বলে যে সে ব্যবসা করার জন্য তাকে টাকা দিতে সে টাকার উপরে সে লাভ প্রদান করবে।
কিন্তু এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ব্যক্তি দৈনিক বেলা বার্তা কে জানায় এই জাকারিয়া তার কাছ থেকে ২,০০,০০০/- টাকা ঋণ নেয় বলে প্রতি মাসে ২,০০০/- টাকা লাভ দিবে, কিন্তু জাকারিয়া তাকে লাভ তোঁ দেয় ই না উলটো বলে সে ব্যক্তির নিকট নাকি সে টাকা পাবে।
এলাকার আরেকজন লোকের সাথে কথা বলেও জানা যায় যে এই জাকারিয়া নামক প্রতারক এক ভদ্র লোক কে বলে যে আপনি আমাকে কিছু টাকা ধার দেন পরে সে ভদ্র লোক তাকে বলে আমার টাকা কিছুদিন পরে আসবে টা তুমি এই চেক টা রাখো আমি তোমাকে ফোন দিলে তুমি টাকা তুলে নিয়, তোঁ কিছুদিন পরে সে ভদ্র লোক জানতে পারে যে সে একতা প্রতারক ও হুন্ডি ও বেটিং সাইটের সাথে জড়িত তখন সে ভদ্র লোক তাকে বলে যে আমার যে চেক তোমার কাছে আছে তা আমাকে ফেরত দেন তখন জাকারিয়া বলে ভাই বাসা থেকে আপনি ফ্রেশ হয়ে আসেন আমি দিতেসি। এরপরের দিন সে ভদ্র লোক আবার জাকারিয়ার কাছে যায় এবং বলে আমার চেক ফেরত দিন কিন্তু জাকারিয়া তাকে বলে যে সে চেক গ্রামের বাড়ি তে রেখে আসছে, এইভাবে সে ছলচাতুরী করে তার চেক ফেরত দেয় না , এরপর সে ভদ্র লোক কে সে বলে যে জাকারিয়া না কি ঐ ভদ্র লোক এর কাছে টাকা পায় ? এ শুনে ঐ ভদ্র লোক তোঁ কি বলবে বুঝে পাচ্ছে না।
এর পর সে এলাকার আরেক ভদ্র লোক কে হটাত মেসেজ দিয়ে বলে যে সে না কি তার কাছে ১০,০০০/- টাকা পায়।
পরে সে ভদ্র লোক এলাকায় এসে সবার সামনে যখন জাকারিয়া কে বলে প্রমান দাও তখন জাকারিয়া আর প্রমান দিতে পারে না আর সবার সামনে মাফ চায়, ঐ সময় জাকারিয়ার বাড়িওয়ালার ছেলে তখন উপস্থিত ছিলেন।
নুরেরচালা এলাকায় সরজমিনে এসে জানা যায় যে এই জাকারিয়া আরও অনেকের সাথে তার এ ধরনের প্রতারণা কাজ চলমান রাখে তার দোকানে কোন মানুষ এসে যখন ক্যাশ আউট করতে চায় তখন সে নিজে বলে জি ক্যাশ আউট করেন , তখন সেই ভদ লোক কাস্টমার তার দেয়া এজেন্ট নাম্বারে ক্যাশ আউট করে, এবং এর পরক্ষনেই জাকারিয়া বলে আপনি আধাঘণ্টা ঘুরে আসুন পরে আপনাকে টাকাটা দিচ্ছি, এ সব করে সে সব এলাকার মানুষের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে এদিক সেদিক করে , এমন করলে দেখা গেসে অনেক মানুষের মনে থাকে না তখন জাকারিয়া সে টাকা আত্মসাৎ করে।
এরপর বিদেশে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা আদান প্রদান করে এই জাকারিয়া। বিভিন্ন মানুষের হুন্ডির টাকা সে আদান প্রদান করে।
এভাবে এসব ব্লাক মেইলার মানুষকে প্রতারণা করে চলে আসছে।
এবং তার আরেকটি পরিচয় বেলা বার্তা জানতে পারে যে সে ইস্ট বেঙ্গল কমিউনিস্ট পার্টির পর্বে সদস্য ছিল।
এসব মানুষকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা জরুরী।
আপনার মতামত লিখুন :