ad728

নওগাঁর মান্দায় পরকীয়ার জেরে বিজিবি সদস্যকে আটক পূর্বক গণধোলাই ও গলায় জুতার মালা


FavIcon
নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত : ১৩ মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ছবির ক্যাপশন: ad728

নওগাঁর মান্দায় পরকীয়ার জেরে বিজিবি সদস্যকে আটক পূর্বক গণধোলাই ও গলায় জুতার মালা

সাইফুল ইসলাম, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি :

নওগাঁর মান্দায় এক মেম্বার পদপ্রার্থীর স্ত্রীর ঘরে পরক্রিয়া করতে গিয়ে রানা হামিদ (৩৮) নামে এক বিজিবি সদস্য আটক হয়েছে। সোমবার পূর্বরাত সাড়ে ১২টার দিকে আটকের পর গণধোলাই দিয়ে জুতার মালা পরিয়ে বেধে রাখে ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যরাসহ স্থানীয়রা। পরে সংবাদ পেয়ে মান্দা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে তাকে উদ্ধার করে মান্দা থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেছে। এ ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
আটককৃত বিজিবি সদস্য রানা হামিদ থানার কুসুম্বা ইউপির বড়পই পূর্বপাড়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে। সে বিজিবির ল্যান্স কর্পোরাল পদে কর্মরত রয়েছেন।
স্থানীয়ারা জানান, ঐ মেম্বার পদপ্রার্থী একটি মসজিদের ইমাম এবং এবারে ঐ ওয়ার্ডের মেম্বার পদপ্রার্থী। গত রাত সাড়ে ১২টারদিকে বিজিবি সদস্য রানা হামিদ ঐ নারীর ঘরে যায়। বিষয়টি নারীর স্বামী জানতে পেরে ঘরের দরজা আটকিয়ে ডাক চিৎকার শুরু করেন। এ সময় প্রতিবেশীরা গিয়ে তাকে আটক করে। সে সময় ভুক্তভোগী ঐ নারী সবার অগোচরে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। তারা আরও বলেন, রানা ছুটিতে আসলেই সবার অগোচরে গভীর রাতে এলাকার ভাবিদের সাথে দেখা করতে যায়। এর আগেও একবার ঐ নারীর সাথে পরক্রিয়া করতে গিয়ে ধরা খেয়েছিল। এছাড়াও সে একাধিকবার এরকম ঘটনায় গণধোলাই খেয়েছে। এবারে তাকে আটকের পর গণধোলাই দিয়ে জুতার মালা পরিয়ে দেয়। এব্যাপারে ভুক্তভোগী নারীর স্বামী বলেন, রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে শয়ন ঘরের উত্তর পার্শ্বের ঘরে অন্ধকার ঘরে রুবিনাকে দেখতে পেয়ে আমার সন্দেহ হয়। পরে ঘরের আলো জ্বালিয়ে দেখি রানা ঘরের এক কোণে দাড়িয়ে আছে। এ সময় তাকে আটকানোর চেষ্টা করলে আমাকে জখম করে পালানোর চেষ্টা করে। তবে আমি আহত হলেও জাফটে ধরি। আমার চিকিৎসারে আমার ছেলে শাফিক ও আমার ছোট ভাই অহিদুল ইসলাম এসে তাকে আটক করে। পরে গ্রামবাসীরা এসে গণধোলাই দিয়ে গলায় জুতার মালা পরিয়ে দেয়। বিষয়টি থানা পুলিশকে জানালে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে জবাববন্দি শোনেন।
এবিষয়ে অভিযুক্ত বিজিবি সদস্য রানা হামিদ পরকীয়া সম্পর্কের কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করে ঘটনাটি পুরোপুরি সাজানো বলে দাবি করেন।  সত্যতা নিশ্চিত করে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ মুনসুর রহমান বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে রানা হামিদকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ বিষয়ে এখনো থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আলোচিত শীর্ষ ১০ সংবাদ