"পিআর পদ্ধতির মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত ও মনোনয়ন বাণিজ্য বন্ধ করা সম্ভব"
নিজস্ব প্রতিবেদক
-
প্রকাশিত : ০৫ জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
পিআর পদ্ধতির মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত ও মনোনয়ন বাণিজ্য বন্ধ করা সম্ভব
--------------- আলহাজ্ব-মাসুদ সাঈদী
মো: নাজমুল হোসেন
পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধি :
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে দাবিটি জামায়াতের পক্ষ থেকে ১৯৮৪ সালে উত্থাপন করা হয়েছিল, ০৭ বছর পরে হলেও দেশের জনগণ এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ জামায়াত উত্থাপিত এ দাবির যৌক্তিকতা বুঝতে পেরেছিল। তেমনি পিআর পদ্ধতির মাধ্যমে নির্বাচনের যে দাবি জামায়াতের পক্ষ থেকে করা হয়েছে একটু পরে হলেও দেশের জনগণ এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এর কল্যাণময় ও যৌক্তিক দিকগুলো বুঝতে পারবেন।
আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচন বা পিআর পদ্ধতি হলো এমন একটি নির্বাচন ব্যবস্থা,যেখানে একটি রাজনৈতিক দল নির্বাচনে যে পরিমাণ ভোট পায়, জাতীয় সংসদে তারা সেই ভোটের আনুপাতিক হারে আসন লাভ করে। এই পদ্ধতির মূল উদ্দেশ্য হলো জাতীয় সংসদে জনগণের বিভিন্ন অংশের মতামত ও আকাঙ্খাকে সঠিকভাবে প্রতিফলিত করা,যাতে প্রতিটি ভোটের গুরুত্ব থাকে এবং কোনো ভোটই নষ্ট না হয়।
শুক্রবার (৪ জুন) সকাল ১০টায় পিরোজপুর পৌর জামায়াতের আয়োজনে জেলা জামায়াতের কার্যালয়ে কর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভা,শহরে জনসংযোগ এবং পিরোজপুরের ভাড়ানি খাল খনন কাজ পরিদর্শনকালে এ কথা বলেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান,পিরোজপুরের-০১ আসনের জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী আলহাজ্ব মাসুদ সাঈদী।
তিনি আরো বলেন, পিআর পদ্ধতির মাধ্যমে সুষ্ঠু, অবাধ এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব।জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত, মনোনয়ন বাণিজ্য বন্ধ, টাকার অপব্যবহার এবং নির্বাচনকে ঘিরে যে দুর্নীতি গুলো হয় পিআর পদ্ধতির মাধ্যমেই তা রোধ করা সম্ভব। আশা করি সকল রাজনৈতিক দলের সম্মানিত নেতৃবৃন্দ ও দেশের জনগণ তা বুঝতে পারবেন।
মাসুদ সাঈদী বলেন, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের চেতনা ছিল বৈষম্যহীন বাংলাদেশ। এই বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গঠন করতে হলে রাষ্ট্রীয় সকল ব্যবস্থার সংস্কার করতে হবে। গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের সদস্য ও দেশবাসীর দাবিই হচ্ছে আগে গণহত্যার বিচার ও তারপর নির্বাচন। তাই ইন্টেরিম সরকারকে খুনি হাসিনাসহ তাদের দোসরদের বিচার দৃশ্যমান করতে হবে। এরপর প্রয়োজনীয় ও যৌক্তিক সংস্কার দৃশ্যমান করতে হবে। রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার না করে যেনতেন ভাবে একটি নির্বাচন দিলে আবারও ফ্যাসিবাদের উত্থান ঘটতে পারে। এ দেশের মানুষ আর কোনো ফ্যাসিবাদকে মেনে নেবে না।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী জহিরুল হক, এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আব্দুর রাজ্জাক শেখ,পৌর আমীর ইসহাক আলী খান, পৌর সেক্রেটারী আল আমিন শেখ, পৌর সহকারী সেক্রেটারী আনসারুজ্জামান হালিম, পিরোজপুর পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড আমীর মোদাচ্ছের হোসাইন, সেক্রেটারী আব্দুস সাত্তার, পিরোজপুর বাজার সভাপতি কবির হোসেনসহ পৌরসভা ও ওয়ার্ডের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
আপনার মতামত লিখুন :