প্রিন্ট এর তারিখঃ Jul 5, 2025 ইং || প্রকাশের তারিখঃ ০১ জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ ইং
অন্যতম প্রধান আসামি ইউনুস শেখ ঢাকায় গ্রেফতার

ইন্দুরকানীর চন্ডিপুরের জোড়া খুন মামলার অন্যতম প্রধান আসামি ইউনুস শেখ ঢাকায় গ্রেফতার
মো: নাজমুল হোসেন
পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধি :
পিরোজপুরের ইন্দুরকানী (জিয়ানগর) উপজেলাধীন ৫নং চন্ডিপুর ইউনিয়নের ২নং প: চরবলেশ্বর ওয়ার্ডের ০৩ বারের ইউপি সদস্য,স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি শহিদুল ইসলাম হাওলাদার ও তার ভাবী মুকুলী বেগম হত্যার অন্যতম প্রধান আসামি সৌদি ফেরত ইউনুস শেখকে র্্যাবের সহযোগিতায় ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সোমবার (৩০ জুন) রাত ৯ টায় র্্যাপিড আ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)এর সহযোগিতায় পিও দক্ষিনখান থানাধীন আজমপুর জয়নাল মার্কেট সংলগ্ন হাজী সবুর খান রোড--০১ আইয়ুব আলী মাস্টারের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে ইন্দুরকানী থানা পুলিশের মাধ্যমে ইন্দুরকানি থানায় নিয়ে আসা হয়।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, বিগত শুক্রবার (২৭ জুন) দিবাগত রাত ১১টার দিকে ইন্দুরকানী উপজেলাধীন ৫ নং চন্ডিপুর ইউনিয়নের ২ নং পশ্চিম চরবলেশ্বর ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি,উপজেলা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি সেলিম হাওলাদারের ছোট ভাই মোঃ শহিদুল ইসলাম হাওলাদার ঘরে নেটওয়ার্ক সমস্যার কারণে মোবাইলে কথা বলার জন্য পুকুর ঘাটে গিয়ে বসে মোবাইলে কথা বলতে থাকে। পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ওঁৎ পেতে থাকা মামলার ০১নং আসামী ইউনুস শেখ ৭/৮ জন দুষ্কৃতকারীদের নিয়ে রামদা,চাপাতি ও চাইনিজ কুড়াল দিয়ে শহিদুল ইসলামকে কোপাতে থাকে। চিৎকার শুনে বড় ভাই মুর্তজার স্ত্রী মাকুলী বেগম দেবরকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে ঘাতকরা তাকেও কুপিয়ে হত্যা করে ফেলে। এরপর শহিদুলের স্ত্রী রেহেনা বেগম তাদেরকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে ঘাতকরা তাকেও কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে চলে যায়।
শহিদুল ও রেহেনা বেগম দম্পতির ছোট মেয়ে সুমনা আক্তার তোয়ার চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে থানা পুলিশ খবর দেয় ও রেহেনা বেগমের প্রাণ এখনো আছে এটা বুঝতে পেরে চিকিৎসার জন্য অ্যাম্বুলেন্স খবর দিয়ে প্রথমে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও সর্বশেষ ঢাকা মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে রেহেনা বেগম ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। খবর পেয়ে সদর সার্কেল পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাসরিন জাহান পিরোজপুর সদর হাসপাতালে রেহেনা বেগমের জবানবন্দী গ্রহণ করেন। রেহেনা বেগম ও তাদের ছোট মেয়ে তোয়া ৭/৮ জন খুনির নাম উল্লেখ করেন।
ঘটনার পরের দিন শনিবার শহিদুলের বড় ভাই ও নিহত মাকুলী বেগমের স্বামী মুর্তজা হাওলাদার ইউনুস শেখকে প্রধান আসামি করে ০৬জনের নাম উল্লেখ ও ০২জনকে অজ্ঞাত আসামী সহ মোট ০৮জনকে আসামী করে জোড়া হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। ওইদিনই মামলার ২ নং আসামি রফিকুল শেখকে তার নিজের এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় এবং প্রধান আসামি ইউনুস সেখ পালিয়ে আত্মগোপন করে। পুলিশ প্রশাসনের আন্তরিকতার ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ০১ নং আসামী ও প্রধান পরিকল্পনাকারী ইউনুস শেখকে পুলিশ অবশেষে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
এ ব্যাপারে ইন্দুরকানিী থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: মারুফ হোসেন বলেন, ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম ও তার ভাবী মাকুলী বেগম হত্যা মামলায় ০২ নং আসামী রফিকুল শেখ কে পূর্বেই গ্রেফতার করা হয়েছে ও ০১ নং আসামী ইউনুস শেখ কে র্্যাবের সহযোগিতায় ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে ইন্দুরকানী থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তাকে জেল হাজতে প্রেরণের প্রস্তুতি চলছে ও মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে জোর চেষ্টা চলছে।
© দৈনিক বেলা বার্তা