ad728

পিরোজপুর -বরিশাল মহাসড়কের পিরোজপুর অংশে বেহাল দশা


FavIcon
নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত : ২৩ আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ছবির ক্যাপশন: ad728

পিরোজপুর -বরিশাল মহাসড়কের পিরোজপুর অংশে বেহাল দশা : যান চলাচলে চরম ভোগান্তি 


মো: নাজমুল হোসেন পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধি : 

পিরোজপুর -বরিশাল মহাসড়কের পিরোজপুর অংশে শিয়ালকাঠি চৌরাস্তা থেকে পিরোজপুর বলেশ্বর ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় ১৩ কি.মি. সড়কে অসংখ্য খানা খন্দের সৃষ্টি হয়েছে। টানা বৃষ্টিতে পানি জমে এসব খানাখন্দ ছোট ছোট ডোবায় পরিণত হয়। রাস্তার পিচ,খোয়া উঠে বড় বড় গর্তে গাড়ির একপাশে চাকা পড়ে গেলে সেখান থেকে গাড়ি চালাতে গিয়ে একদিকে কাঁত হয়ে পড়ে যায়,মনে হচ্ছে এখনই গাড়ি উল্টে যাবে। এরকম ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন শত শত ছোট বড় গাড়ি চলছে। কখনো কখনো আবার ঘটছে অনাকাঙ্ক্ষিত সড়ক দুর্ঘটনা। 

বিভিন্ন সময়ে খোয়া দিয়ে এসব খানাখন্দ ভরাট, ঢালাই,মেরামতের চেষ্টা করা হলেও অল্প দিনের মধ্যেই উঠে যায়,যার অন্যতম কারণ হলো নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে কোনমতে মেরামত করা। এতে শুধু শুধু সরকারি টাকা নষ্ট হচ্ছে, কিন্তু জনসাধারণের কল্যাণে কিছুই হচ্ছে না,ভোগান্তি কমছে না,বাড়ছে দুর্ঘটনা। অন্যদিকে দায়িত্বরত কর্তৃপক্ষ ও ঠিকাদারদের পকেট ভারি হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে সাধারণ মানুষ ও পরিবহন জগতের সাথে সংশ্লিষ্টরা চাচ্ছেন স্থায়ী সমাধান, মজবুত টেকসই সড়ক নির্মাণ। 

স্থানীয়দের ও পরিবহন মালিক- শ্রমিকদের অভিযোগ,সড়ক সংস্কারের নামে চলছে দুর্নীতি ও অর্থলোপাট। বছরের পর বছর সড়ক সংস্কারের নামে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ ও ব্যয় হয়,কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। বিশেষ করে মোটরসাইকেল ও তিন চাকার যানবাহনগুলোতে সমস্যা বেশি হচ্ছে,এগুলোই সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ। তাছাড়া কোথাও কোথাও রাস্তা চওড়া কম থাকায় দুটি গাড়ি ক্রস করতে গেলে পাশে যদি ছোট কোন যানবাহন থাকে তাহলে একটি সাথে অন্যটি লেগে দুর্ঘটনা ঘটে। গর্তের মধ্যে গাড়ি পড়ে গেলে যন্ত্রাংশ গুলো অনেক সময় অচল হয়ে যায়,গাড়ির চাকা পাংচার হয়ে যায়,এতেও সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে,আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে সাধারণ জনগণ  ও পরিবহন সংশ্লিষ্টগণ স্থায়ী মজবুত ও টেকসই সড়ক নির্মাণের আহ্বান জানান। 

এ বিষয়ে সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী তানভীর আহমেদ জানান,সড়কটির বেহাল দশা ইতিপূর্বে আমাদের নজরে এসেছে।  অতিবৃষ্টির কারণে সড়কটির ছোট ছোট গর্তে পানি জমায় আমরা অস্থায়ীভাবে মেরামতের কাজ করছি, যা  চলমান রয়েছে। স্থায়ীভাবে সমাধানের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি, বরাদ্দ পেলে স্থায়ীভাবে এ সমাধান করা সম্ভব হবে। 

আলোচিত শীর্ষ ১০ সংবাদ