ad728

জামালপুরে দুই প্রতারক স্বামী স্ত্রী


FavIcon
নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত : ২৬ এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ছবির ক্যাপশন: ad728

জামালপুরে দুই প্রতারক স্বামী 




জাকিরুল ইসলাম বাবু
জামালপুর প্রতিনিধি






স্ত্রী,কখনো আইন সহকারি কখনো সংবাদকর্মী,তারা দুইজন মূলত প্রতারক সাংবাদিকের নাম ব্যবহার করে সরকারি অফ






জামালপুর শহরের দরিপাড়ায় একটি বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করেন প্রতারক স্বামী স্ত্রী। তাদের দু'জনের প্রতারণা শুরু কোথায় আমরা এ-ই বিষয়ে চলে যায়। এক ব্যক্তি নাম পরিচয় অনিচ্ছা প্রকাশ করে বলেন,প্রতারক স্বামী স্ত্রী দু'জন মামলা সূত্রে জামালপুর জেলা জজ কোটে এ- আসা যাওয়া করতেন একজন এডভোকেটের সাথে তাদের কে,প্রাই দেখতাম এ-র কিছু দিন পড় থেকেই নিজের কাছে কেমন জানি খটকা লাগতে থাকে,তার পর থেকেই ওদের বিষয়টা একটু জানার আগ্রহ বেড়ে যায়। পরবর্তীতে জজ কোটের একজনকে জিজ্ঞেস করলে,তিনি বলেন,পরিচয়তো দেয় আইন সহকারী এর পর থেকে তারা দু'জনের আইন সহকারী পরিচয়ে,প্রতারক স্বামী স্ত্রী (জনি ও লিজার) প্রতারণা শুরু,

তার পর একদিন সাংবাদিকের নজরে আসে আরেকটি বিষয়,জামালপুর প্রেসক্লাবের সহযোগী সদস্যের সাথে,জামালপুর জজ কোটে কথা বলতে দেখা যায়। 

এর কিছু দিন পর থেকেই ও-ই সাংবাদিকের সাথে  চলাফেরা শুরু। হঠাৎ করেই একদিন মেলান্দহ নিরিবিলি হোটেলে তিনজনকে দেখা যায়। একসাথে দুপুরে খাবার খেতে। এক পর্যায়ে প্রেস ক্লাবের সহযোগী সদস্য সাংবাদিক কে জিজ্ঞেস করেন। আরেক জন সাংবাদিক আপনার সাথে যে দু'জন উনাদের পরিচয় টাতো জানতে পারলাম না। প্রেস ক্লাবের সহযোগী সদস্য সাংবাদিক বলেন। উনারা দু'জনই স্বামী স্ত্রী,একজনের নাম হচ্ছে (জনি  আর অন্যজন হচ্ছে তার স্ত্রী লিজা)। উনাদের এর আগেতো কখনো দেখিনি তাই বললাম। উত্তরে প্রেসক্লাবের সহযোগী সদস্য সাংবাদিক বলেন,উনারা দু'জনই সাংবাদিকতা শিখতে চাচ্ছে,ভাবলাম মেলান্দহ উপজেলায় একটা কাজ আছে তাই উনাদেরকে সাথেই নিয়ে আসলাম।

এ-ই হচ্ছে জামালপুর জেলার সাংবাদিকদের অবস্থা কিছুই করার নেই।

তার পর থেকেই সংবাদকর্মী,পরিচয় দেওয়া শুরু  এরা দু'জনই মূলত প্রতারক। সংবাদকর্মী পরিচয়ে প্রথম প্রতারণা জামালপুর জেলা কারাগারে দুর্নীতি নিউজ বন্ধ করার কথা বলে,দুর্নীতিবাজ,জেলার আবু ফাতেহ,কাছ থেকে প্রতারক দু'জন টাকা নিয়ে আসেন। এ-ই সাংবাদিকের নাম বলে...

গত কয়েকদিন আগে সংবাদকর্মী পরিচয় দিয়ে এবং সাংবাদিক নাম ব্যবহার করে জামালপুর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীতে অফিসে গিয়ে তারা দু'জন প্রতিবাদ বিজ্ঞাপনের কথা বলে ৪০হাজার টাকা নিয়ে আসে এবং বিষয়টা সত্যতা নিশ্চিত করার জন্য সাংবাদিক প্রথমে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী জামালপুর জেলা কার্যালয় এ যায়। অফিস স্টাফদের কাছে জানতে চাইলে অফিস স্টাফরা বলেন,সাংবাদিক ভাই আপনার কথা বলে,প্রতিবাদ বিজ্ঞাপনের জন্য (জনি ও লিজা) দু'জন আমাদের কাছ থেকে মোট ৪০হাজার টাকা নিয়ে গিয়েছে।

অথচ সাংবাদিক এ-ই বিষয়ে কিছুই জানতেন না।

সাংবাদিক সত্যতা নিশ্চিত করে,প্রতারক দু'জনকে অনেক খুঁজাখুজির পর শহরের দরিপড়ায় তাদের খোঁজ মিলে এবং তাদেরকে প্রশ্ন করলে,আপনারা সাংবাদিকের নাম বলে,প্রতিবাদ বিজ্ঞাপনের জন্য ৪০হাজার টাকার নিয়ে আসছেন কেনো,উত্তরে প্রতারক (লিজা) বলেন আমার স্বামী সাংবাদিকের টাকা নিয়ে আসবে কেনো বলেন,আমার স্বামী টাকা নিয়ে আসছে ঠিক আছে,সেইটা হচ্ছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীতে কম্পিউটার অপারেটারের চাকরি হবে,এ-ই জন্য আমার সাথে ১৪লক্ষ টাকা কন্টাক্ট  তার মধ্যে আমি ৪লক্ষ টাকা দিয়েছি,ও-ই টাকা  থেকে আমার স্বামী টাকা নিয়ে আসছে। আপনি সাংবাদিক,তা-ই কি হয়েছে। আপনি বেশি বাড়াবাড়ি করলে আপনার নামে আমরা মামলা করবো,এই কথা বলে হুমকিও দেওয়া হয়।সাংবাদিক কে,প্রতারকরা।

হঠাৎ দরিপাড়া রাস্তার পাশ থেকে সাংবাদিকদের কে হুমকি দেওয়ার বিষয়টা সুমন নামের এক ব্যক্তির চোখে পড়ে যাওয়াই তিনি বলেন,সাংবাদিক ভাই আপনারা সম্মানি ব্যক্তি তাই বলছি,জনির আচরণ দেখে কি মনে হচ্ছে কোনো সুস্থ মানুষের আচরণ।
এই রকম হয়। ও-ই ড্রাগস অ্যাডিক্টেড কখন কি করে বসে,টাকা গেলে টাকা পাওয়া যাবে মান সম্মান গেলে মান সম্মান পাবেন না। তাই  সম্মান থাকতে চলে যান ভাই। এখানে শেষ নয়।

প্রতারক (জনি) মুঠোফোনে হুমকি সহ প্রতারকের স্ত্রী লিজার ফেসবুক আইডি থেকে হুমকি স্বরূপ। একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস দিতেও দেখা গিয়েছে,গণমাধ্যমে এর আংশিক প্রমাণ তুলে ধরছি আপনাদের সামনে বাকিটুকু সুরক্ষিত অবস্থায় সাংবাদিকের কাছে রয়েছে।

এ বিষয়ে জামালপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি আলহাজ্ব হাফিজ রায়হান (সাদা) বলেন,এদের কে ধরো।পরবর্তীতে প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমানকে অবগত করা হলে তিনি বলেন,প্রতারক (জনি ও লিজা) আমাদের ক্লাবের কোনো সাংবাদিক না। তাদেরকেতো এ-ই অফিসে ডুকতেই দেওয়া হবে না। এ-ই বিষয়ে তিনি আরো বলেন,আপনি চাইলে (জনিও লিজার বিষয়ে আইন গত ব্যবস্থা নিতে পারেন। আমাদের কোনো আপত্তি নেই।

গত বুধবার দুপুরে দু'জন সাংবাদিক মুঠোফোনে ফোন দিয়ে বলেন,সাংবাদিক কে (জনি ও লিজার) ৪০হাজার টাকা নেওয়ার বিষয়ে আপনার সাথে কথা ছিলো,আপনি এখন কোথায়। একপর্যায়ে সাংবাদিকের বাসায় এসে,মীমাংসার প্রস্তাব দিয়ে বলেন,আগেই কিছু করার দরকার নেই,
বিষয়টা আমি দেখছি আর সন্ধ্যার মধ্যে আমি আপনাকে ফোনে জানাবো.. 

তার পরে শুক্রবার সকালে সাংবাদিকের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন.(জনি ও লিজা) টাকা নেওয়া বিষয়টা স্বীকার করেছেন আমার কাছে এখন তারা ও-ই টাকা ফেরত দিতে চাচ্ছে না। এইবারের জন্য তাদেরকে ক্ষমা করে,একটা সুযোগ দেওয়া গেলে দেন।

পরবর্তীতে জামালপুর সদর থানার ওসিকে বিষয়টি অবগত করে বলেন,সাংবাদিক,প্রতারক(জনি ও লিজা) সাংবাদিকের নাম বলে প্রতিবাদ বিজ্ঞাপনের জন্য সর্বমোট ৪০হাজার টাকার মধ্যে অফিস থেকে প্রথমে নেয় ২০হাজার টাকা আর বাকি টাকা নেয় তিন বারে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর স্টাফ কোয়ার্টারের সামনে থেকে,১০হাজার,৮হাজার সব শেষ ২হাজার টাকা নিয়ে আসেন প্রতারকরা। এ-ই হচ্ছে মোট ৪০হাজার টাকা সহ মামলার হুমকি দেওয়া হলে সাংবাদিকের নিরাপত্তা স্বার্থে,সদর থানায় একটি সাধারণ ডাইরি করতে চাইলে সদর থানার ওসি তিনি বলেন,এইটাতো চাঁদাবাজি মামলা হয়। আপনি থানায় এসে অভিযোগ করেন। বিষয়টা আমি দেখছি। 

আবারো দেখা হবে কোনো এক বিষয় নিয়ে। 
সবাই ভালো থাকবেন।

আলোচিত শীর্ষ ১০ সংবাদ